অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নাটোরের ছাতনীতে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে মোটরসাইকেলে ফেরার পথে দুই মেয়ে শিশুর সামনে ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন সরকারের ছেলে আমজাদ হোসেন সরকারকে (৩৪) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. মামুন পাঠানসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২২ জুন) বিকেলে সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের মাঝদিঘা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অন্য গ্রেপ্তাররা হলেন– একই এলাকার সোহানুর রহমান কাজল, রবিউল পাঠান ও মো. আলামিন।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন সরকার নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান অনুসারী। অপরদিকে ইউপি সদস্য মামুন পাঠান স্থানীয় এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের অনুসারী। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। শনিবার নিজের দুই মেয়ে শিশুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে হামলার শিকার হন ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন সরকারের ছেলে আমজাদ হোসেন সরকার। প্রতিপক্ষরা প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই মেয়ে শিশুর সামনেই তাদের বাবাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় আমজাদ হোসেনের বাবা তোফাজ্জল হোসেন সরকার বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন সরকার বলেন, দাওয়াত খেয়ে আমার দুই নাতনিকে নিয়ে ছেলে বাড়ি ফিরছিল। রাস্তায় তার পথ রোধ করে অতর্কিত হামলা চালায় মেম্বারের লোকজন। ছেলে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অবস্থা খুব খারাপ। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে। হামলার ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply